সন্তান পাওয়া বা সন্তান হওয়া সম্পর্কে অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে। একজন স্বাস্থ্যকর কোয়ালিটির জীবনযাপন এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পরিবার পরিকল্পনা করা এই প্রশ্নের জবাব হিসেবে প্রয়োজনীয় হতে পারে। কখন মিলন করলে সন্তান হয় না? বিশেষ করে নতুন দাম্পতিদের মধ্যে এই প্রশ্ন অনেক আগ্রহের হয়ে থাকে।
মেডিকেল
বিজ্ঞান বলছে যে, সন্তানের জন্ম পাওয়ার জন্য কিছু পরিধিত শর্তাবলী থাকে। এই শর্তাবলী বাংলাদেশে সাধারণত প্রয়োজনীয় বিধানসমূহের সাথে পালন করা হয়।
তবে, এই পরিধিত শর্তাবলীর
সময়সীমা ও পদ্ধতি প্রতি
ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত, সন্তান না হওয়ার একটি কমন কারণ হল স্ত্রীর বীজ
বা পুরুষের শুক্রাণু উত্পাদন বা শুক্রাণু বীজ
সম্প্রদান করতে অক্ষম হওয়া। এটির
কারণে সন্তান হওয়া সম্ভব হয় না।
এটির সাথে সম্পর্কিত কিছু কারণ নিম্নরূপ:
- মহিলার আস্তত্বাবধান: মহিলার ডিম্বে শুক্রাণু উত্পাদন বা মাসিক চক্রের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। স্ত্রীর
আস্তত্বাবধান এবং উত্পাদনশীল মাসিক চক্রের সময়ে সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে।
- পুরুষের কার্যক্ষমতা: পুরুষের শুক্রাণু কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সন্তান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছুবার
মধ্যে শুক্রাণু কার্যক্ষমতা নিম্ন হয় বা শুক্রাণুর উত্পাদন বা বীজ সম্প্রদান করতে অক্ষম হয়ে যায়, যার ফলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- অনুকূল পরিবেশ: উচ্চ স্তরের স্থানীয় তাপমাত্রা এবং পরিবেশের নিয়মিত নির্ভরযোগ্যতা সন্তান প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি
পরিবেশে আর্থিক কঠিনতা, পরিবারের কর্মপালন অভাব বা অন্যান্য কারণে উচ্চ তাপমাত্রা বা অক্ষমতা থাকে, তবে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- মেডিকেল কারণ: কিছু মেডিকেল শর্তে সন্তান প্রজনন করা কঠিন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ,
স্ত্রীত্বকে সংক্রামক রোগ বা অসামঞ্জস্য সম্পর্কিত সমস্যায় ভূগলে থাকলে সন্তান প্রজননে কিছু সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও,
পুরুষের শুক্রাণুতে অক্ষমতা বা অন্যান্য মেডিকেল কারণে সন্তান প্রজনন করা সম্ভব না হতে পারে।
এই
সব কারণগুলি মিলে একজন স্বাস্থ্যকর কোয়ালিটির জীবনযাপন, অনুকূল পরিবেশ এবং মেডিকেল পরামর্শ দ্বারা সন্তান প্রজননের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। মেডিকেল
পরামর্শকে গ্রহণ করে একজন কাপড় চিকিৎসক বা জননির্দেশক নিয়মিতভাবে
সন্তান প্রজননের সম্ভাবনা নিরীক্ষণ করতে পারেন। তারা
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সামগ্রিক পরিবেশ এবং কারক মেডিকেল সমস্যা বিবেচনা করে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করবেন।
সন্তান
প্রজনন বা পরিবার পরিকল্পনা
করতে সময় প্রয়োজন। তবে,
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পরিবেশ এবং মেডিকেল পরামর্শের মাধ্যমে সন্তান প্রজননের সম্ভাবনা বাড়ানো যায়। এছাড়াও,
দ্রুত মেডিকেল পরামর্শ নেওয়া উচিত যদি কেউ কিছু সমস্যা বা অস্বাস্থ্যকর লক্ষণ
অনুভব করেন। পরিবারে
সন্তান প্রজননের জন্য যোগাযোগ করুন আপনার স্থানীয় ডিকেল পেশাদার বা মেডিকেল পেশাদারের
সাথে পরামর্শের জন্য।
কোন সময় মিলন করলে গর্ভধারণ হয় না?
গর্ভাবস্থায়
যে সময় মিলন করলে গর্ভবতী হয় না, তা পর্যালোচনা করার কিছু
উদাহরণ হল:
- গর্ভনিরোধক ব্যবহার: যদি একজন মহিলা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন, তবে মিলন করলেও সে গর্ভবতী হতে পারেন না। গর্ভনিরোধক
ব্যবহার করার মাধ্যমে বিপদজনক গর্ভাবস্থার ঝুঁকি কমানো হয় এবং সন্তান প্রজনন বাধা দেয়া যায়।
- অবৈধ মিলন সময়: সম্ভবত একটি মিলন সময়কে সঠিকভাবে বাছাই না করলে গর্ভাবস্থায় আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অপরিষ্কার
মিলন সময় বা অবৈধ পরিবারিক পরিকল্পনা করার ফলে গর্ভবতী হওয়া একটি ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যা অথবা মেডিকেল শর্ত থাকলে মিলন করলেও গর্ভবতী হওয়া সম্ভব নয়। যেমন,
অনিরামদ মাসিক চক্র, প্রজনন সমস্যা, অনিয়মিত বা অতিরিক্ত মাসিক ব্লিডিং, হরমোনাল সমস্যা ইত্যাদি। এই
সমস্যার জন্য যেসব মহিলার গর্ভবতী হওয়া কঠিন হয়, তারা উচিত মেডিকেল পেশাদার বা পরামর্শকারী সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
মানসিক,
শারীরিক এবং মেডিকেল কারণে মিলন সময়ের পরিকল্পনা করতে যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তিনি
আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও পরিবারিক পরিকল্পনা
নির্ধারণে সহায়তা করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি সন্তান এখনি নিতে না চান এবং কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মিলন করতে চান তাহলে মাসিক চক্রের হিসাব করে মিলন করতে পারেন। সাধারণত মাসিকের প্রথম দুই সপ্তাহে এবং শেষের সপ্তাহে মিলন করলে গর্ভরণন হয় না। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে “কোন কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হয় না” ইনফোটি দেখুন।
